ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় আসাম রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। রাজ্যটিতে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ জনে। নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে ২৭টি জেলার ৫০ হাজার বাসিন্দাদের।
তাদের মধ্যে ৫০ জন গর্ভবতী মহিলা এবং ৭ হাজার শিশু। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্তত ছয় লাখ মানুষ। আটকে পড়া বাসিন্দাদের উদ্ধারে সেনাবাহনী মোতায়েন করা হয়েছে।
এনডিটিভির খবর অনুযায়ী, বন্যাকবলিত এলাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ ও যোগাযোগব্যবস্থা চালু করতে হিমশিম খাচ্ছে রাজ্য সরকার।
ভারী বর্ষণের কারণে বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘ নদী ব্রহ্মপুত্রের পানি বেড়ে গেলে তীরবর্তী গ্রামগুলো প্লাবিত হয়। ইতিমধ্যে ৪৮ হাজারের বেশি মানুষকে ২৪৮টি ত্রাণ শিবিরে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
ভারতের আসামে বন্যা ও ভূমিধসে এ পর্যন্ত ৯ জন মারা গেছেন। এতে ২৭টি জেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৬ লাখ ৬২ হাজারের বেশি মানুষ। আসাম রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানায়, নগাঁও জেলায় প্রায় ২ লাখ ৮৮ হাকার লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এছাড়া কাছাড়ে ১ লাখ ১৯ হাজার মানুষ, হোজাইতে ১ লাখ সাত হাজার মানুষ, দারাংয়ে ৬০ হাজার ৫৬২ জন, বিশ্বনাথে ২৭ হাজার ২৮২ জন ও উদালগুড়ি জেলায় ১৯ হাজার ৭৫৫ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
গতকাল বুধবার (১৮ মে) আসামের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় আরও একজনের প্রাণহানি ঘটেছে। এতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯। আসামের বিভিন্ন জেলায় ১৩৫টি শিবিরে ৪৮ হাজারেরও বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।
বন্যা কবলিত এলাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের যেন ঘাটতি না হয়, সেজন্য রাজ্যজুড়ে ১১৩টি বিতরণ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, রাজ্য সরকার বন্যা কবলিত জেলাগুলোতে ১৫০ কোটি রুপি ছাড় করেছে। এছাড়া বন্যা ত্রাণ ব্যবস্থার অংশ হিসেবে কেন্দ্র রাজ্যের জন্য এক হাজার কোটি রুপি বরাদ্দ দিয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।